Description
:: দুটি ভিন্ন স্বাদের পূর্ণাঙ্গ নাটক ::
চোখের বালি: বিধবা রাজলক্ষ্মীর একমাত্র আদরের এবং মাতৃভক্ত ছেলে মহেন্দ্রকে নিয়ে সুখেই দিন কাটতে থাকে। স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পদে খুব ভালোভাবেই তাদের দিন কাটে। একমাত্র সন্তানকেও শিক্ষিত করে তুলতে থাকেন। ডাক্তারি পড়তে ভর্তি করেন মেডিকেল কলেজে। মহেন্দ্রের বিয়ের বয়স হলে রাজলক্ষ্মী বারবার পুত্রবধূ ঘরে আনার প্রস্তাব করেন ছেলের কাছে। কিন্তু মহেন্দ্র! সে তো মায়ের সুখের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিয়ে করতে নারাজ। তার এক কথা বউ ঘরে আসলে মা পর হয়ে যায়। আসলেই কি মহেন্দ্রর মনের ভাবনা এটা নাকি বিয়ে না করার পেছনে রয়েছে অন্য কিছু?
মহেন্দ্রের কাকী অন্নপূর্ণা খুব করে চেয়েছিলেন তার বোনের মেয়ে আশাকে মহেন্দ্রর বউ করে আনতে। কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় তার বন্ধু বিহারীকে প্রস্তাব দেন অন্নপূর্ণা। বাধ্য ছেলের মতো রাজি হয়ে যায় বিহারি। মহেন্দ্র, বিহারির আশাকে জন্য দেখতে গিয়ে নিজেই পছন্দ করে আশাকে। কিন্তু বিহারি কি তা মেনে নিবে?
বিয়ের পর আশার উপর নানান কারণে ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেন শ্বাশুড়ি রাজলক্ষ্মী। পুত্র এবং পুত্রবধূর উপর আক্রোশ করে গৃহত্যাগী হনতিনি। গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন বিধবা বিনোদিনীকে যার সাথে আগে মহেন্দ্রর বিয়ের কথা ছিল। তিনি বিনোদিনীর দ্বারা পুত্রের অবৈধ প্রণয়ে প্রশ্রয় দেন। রাজলক্ষ্মী কেন আশার উপর রাগান্বিত হন? কী এমন ঘটেছিল যার কারণে তিনি মা হয়ে বিনোদিনীকে প্ররোচিত করেন মহেন্দ্রকে আশা বিমুখী করতে?
উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র বিহারীর ব্যক্তিত্বখচিত দৃষ্টিভঙ্গি বিনোদিনীকে আকৃষ্ট করলেও বিহারী কখনো সে চোখে দেখেনি তাকে। আশার প্রতি বিহারীর মনের গহীনে লুকায়িত ছিল কিঞ্চিৎ ভালোবাসা। যদিও তা ছিলো অপ্রকাশিত কিন্তু বিনোদিনী তা বিনোদিনীর চোখ এড়ায়নি। বিনোদিনী কি এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে মহেন্দ্র আর আশার সম্পর্কে ফাটল ধরাবে?
আশার ভাগ্য কতটা সুপ্রসন্ন! তার প্রতি একদিকে মহেন্দ্রর স্বামী হিসেবে ভালোবাসা অন্যদিকে বিহারীর ভালোবাসা দেখে তার সুপ্রসন্ন সৌভাগ্যকে হিংসা করতে থাকে বিনোদিনী। কারণ একসময় মহেন্দ্রের বউ হওয়ার কথা থাকলেও আজ সে অন্যের বিধবা স্ত্রী। আর তার জায়গায় সুখের ঘর করছে আশা আবার তার মন আকৃষ্ট করা পুরুষের মনেও আশার বসত। তাই ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ে সে। রাজলক্ষ্মীর প্রশ্রয়ে মহেন্দ্রকে আকৃষ্ট করে বিনোদিনী। কী করে বিনোদিনী কাছে টানবে মহেন্দ্রকে? সে কি তাহলে মহেন্দ্রর বাড়ি এসেছে নিজের দূর্ভাগ্যের প্রতিশোধ নিতে? না-কি উপন্যাসের সমাপ্তিতে রয়েছে অন্য কিছু?
বিনোদিনীর বন্ধুত্বসুলভ আচরণে দূর্বল হয়ে পড়ে আশা। তার সাথে গড়ে তোলে সখ্যতা। আশার সারল্য ও শিথিলতা মহেন্দ্র ও বিনোদিনীর অবৈধ সম্পর্ককে আরো কাছাকাছি আনে। বিহারীর প্রতি আশার বিবেচনাশূন্য দৃষ্টিভঙ্গি বিহারীকে কর্ম ও জীবনক্ষেত্র থেকে উন্মুলিত করে। মহেন্দ্র ও বিনোদিনীর পরষ্পরের কখনো আকর্ষণ, কখনো বিকর্ষণবোধ উপন্যাসের ঘটনাধারাকে প্রবাহিত করে।
কী হবে মহেন্দ-আশার সম্পর্কের পরিণতি? চারটি চরিত্রের ভাগ্যে কী আছে উপন্যাসের শেষে?
_______________________________________________
সবার প্রথমে বলে রাখা দরকার, এটি সম্পূর্ণ ভাবে প্রাপ্ত – বয়স্কদের জন্যে।। আপত্তিকর দৃশ্য এবং শব্দ রয়েছে।
“ মাজনু ” নাটকটা চলাকালীন হঠাৎ করেই একটা বিদেশী নাটকের সঙ্গে মিল পেয়ে যেতে পারেন। তাই আগেই বলে রাখা ভালো যে , This is an adoption of William Shakespeare’s “ MACBETH “ .
ঠিক ডানকেনের মতো এখানেও একজন সাধু আছে যে রংপুরের সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী । তার ডান হাত গল্পের নায়ক “ মাজনু “, যার রয়েছে অপরিসীম ক্ষমতা, যে কিনা সমস্ত রকমের ডিল ফাইনাল করে সাধুর হয়ে । যেটা আবার মাজনুর স্ত্রী চুমকির একেবারেই পছন্দ নয় । চুমকির উচ্চাকাঙ্ক্ষার জেরে মাজনু সাধু কে হত্যা করতে বাধ্য হয় , ঠিক যেমনটা আমরা ঐ বিদেশী নাটকটায় দেখেছি ।
তবে এরপর মাজনুর ভবিষ্যত এবং বিদেশী নাটকটার সাথে খুব একটা মিল পাবেন না । আমরা এই নাটকে চুমকির সাহসে, মাজনু তথা নাটকের নায়কের ভেঙে পড়া, উঠে দাঁড়ানো, এবং সর্ব ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি হয়ে ওঠা দেখতে পাবো। কিন্তু মাজনু কি পারবে তার এই ক্ষমতাকে ধরে রাখতে চিরদিনের মত? নাকি বাস্তবের মত মুখ থুবড়ে পড়বে? এখন সেটাই দেখার মাজনুর ভবিষ্যত কি?
Tickets Price : দুটি নাটক একত্রে মূল্য ₹150 টাকা
Date and Time :৩০শে জুন, ২০২৩, বিকেল ৫টা থেকে “চোখের বালি” – সন্ধ্যা ৭টা থেকে “মাজনু”
Venue : শিশির মঞ্চ